প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৩২:৫৯
অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নির্বাচনী রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি। নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনে যেন বিতর্কিত কাউকে রাখা না হয় এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের দাবি জানিয়েছে দলটি। এছাড়া রাষ্ট্র সংস্কারে আরো বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। দুপুর আড়াইটার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ যমুনায় প্রবেশ করেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে গনমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনী রোডম্যাপ চেয়েছি। এনআইডি কার্ড স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়া বিষয়ক আইন ও সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছি।
নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করার বিষয়ে কথা হয়েছে। বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে যেন নির্বাচন সংস্কারে গঠিত কমিটিতে রাখা না হয় তার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ভুয়া, বিতর্কিত ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনের সব কমিশনারকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি। প্রশাসনে আওয়ামী লীগ দোসরারা এখনও আছে তাদের সরিয়ে দিতে বলেছি।
গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করার কথা বলেছি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার কথা বলেছি। বিচার বিভাগে ২০ জন বিচারপতি এখনো কাজ করছেন যারা আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত, তাদের সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদের যেন জামিন দেওয়া না হয়। গায়েবি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেছি।
শেখ হাসিনা ভারতে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভারত সরকার যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, এজন্য অন্তর্র্বতী সরকারকে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।