(জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিয়ে আজ বিকেলে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। পোস্টটি তুলে ধরা হলো।)
প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২৫, ১১:৫৪:২৯
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে দুই দেশ অদূর ভবিষ্যতে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সই করবে।
শুক্রবার (৩০ মে) টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার সামগ্রিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় এবং উভয় নেতা কৌশলগত অংশীদারত্বে অটুট থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা বাংলাদেশকে দীর্ঘদিনের বন্ধু আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’ তিনি প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি নতুন যুগে প্রবেশ করবে।’
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
প্রধানমন্ত্রী ইশিবা আরও জানান, এ বছরের শেষ নাগাদ ইপিএ চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস গত দশ মাসে বাংলাদেশের প্রতি জাপানের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইশিবাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচিতে জাপানের সক্রিয় সহযোগিতা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বাংলাদেশের ‘মুক্ত, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের প্রতি জোর দিয়ে বলেন, ‘সামুদ্রিক নিরাপত্তা, নৌ চলাচলের স্বাধীনতা, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার, উন্নত সংযোগ ব্যবস্থা এবং আন্তদেশীয় সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় আমরা জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।’
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের সফর ও আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের পর কমপক্ষে তিন বছরের জন্য জাপানের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে মাতারবাড়িতে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল এবং মহেশখালীতে এলপিজি আমদানি টার্মিনাল নির্মাণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন।
এইচএস