জুলাই বিপ্লবের ৪ জন সৈনিক কি কারনে আহত অবস্থায় ১০ মাস পরে জীবনের মায়া ত্যাগ করতে চাইল তাদের প্রতি কি ভালোবাসা আপানার উদ্রেক হলো না?
প্রকাশিত : ২৮ মে ২০২৫, ৬:২৮:৫০
কয়দিন আগেও কেউ প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একটা কথা বললে তাদের দশটা কথা শুনিয়ে দিতাম।আবার এখন অনেকে মনে করেন কোন দলের প্রতি দুর্বলতার কারনে হয়তো ইউনুছ সাহেবের সমালোচনা করছি!কিন্তু গত দশ মাস ক্ষমতায় থাকার পর উনার মুল্যায়ন করার সময় এসেছে।আমরা দেখতে পাচ্ছি তিনি কিছু মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।যে “জুলাই বিপ্লব”নিয়ে আপনি অবসেস্ড তাদের কজন আপনার চারপাশে ঘুরঘুর করে এবং পুরো বিপ্লব তাদের নিজেদের করে হাইজাক করল-তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে?
এই জুলাই বিপ্লবের ৪ জন সৈনিক কি কারনে আহত অবস্থায় ১০ মাস পরে জীবনের মায়া ত্যাগ করতে চাইল তাদের প্রতি কি ভালোবাসা আপানার উদ্রেক হলো না?শুধু আসিফ-নাহিদের প্রতিই আপনার ভালোবাসা উপচে পড়ে!আহত এই মানুষগুলো জীবনে কোনদিন কেউ চোখ ফিরে পাবে না,কেউ পা পাবে না কিন্তু আপনিতো তাদের দেখে যেতে পারতেন!তাদের বিদেশে চিকিৎসার অর্ধেক টাকা যে মাহফুজদের বন্ধুরা মেরে দিল কেন সে বিচার কি আপনি করবেন না?
দয়া করে আপনি মনে রাখবেন আপনি কিন্তু এনসিপির সভাপতি নন বা রাজনীতি করেন না।কজন ছাত্র নামধারীর এবং একটা গেংগের পাল্লায় পড়ছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।আপনার মত বিশ্ব বরেণ্য এবং অপরিসীম ব্যক্তিত্ববান মানুষকেও যে এসব ফড়িয়াদের খপ্পরে পড়তে পারেন তা চিন্তা ও করিনি কখনো। যাইহোক,এই ফড়িয়াদের আপনি ব্যবহার করছেন সেটা আমি অন্তত মনে করি না।কিন্তু এরা কিভাবে আপনাকে ব্যবহার করছে সেটা এক বিশাল প্রশ্ন। যাইহোক, সবাই আপনাকে এখনো পর্যন্ত সমর্থন করে যাচ্ছে।দেশের সেনাবাহিনী ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দুরত্ব কাটিয়ে দ্রুততার সাথে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।নাহয় শুধু আপনার নয় পুরো দেশের বারটা বাজানোর জন্য আমাদের শত্রুদের হাতে আপনি অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন বলেই মনে করব।
কাজের স্বাভাবিক গতি ফেরাতে সরকারের দরকার কাজের গতি বাড়ানো।যেসব উপদেষ্টা “চাকরি” করতেছে তাদের বের করে দেন।
গফুর-ছোটন-কৃষ্ণ-অর্জুন-রাধা এবং এদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা কারা?তারাই কি আপনার নীতি নির্ধারক?
সেনাবাহিনী, বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে প্রধান উপদেষ্টার ও সরকারের সম্পর্ক আপাতত ভালো।সবাই সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।এটা স্বস্তির ও বটে।সেনাবাহিনী রীতিমতো বাধ্য করছে সরকারকে করিডোরের ব্যাপারে। এটাকি ভাল হলো? এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে না জানিয়ে কতিপয় উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুছের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করল কেন? এদের উনি বের করে দিচ্ছেন না কেন?আগের মত ইন্টেরিম সরকার যে আর ব্লান্ক চেক পাবে না সেটা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততই দেশের জন্য ভালো।
আর গফুর-ছোটন-কৃষ্ণ-অর্জুন-রাধারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ডঃ ইউনুছকে গিলাচ্ছে এটাকে যদি ছেলে খেলা মনে করেন তাহলে আমাদের কপালে শনির দশা আছে।রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি এবং জামাতকে সরকারকে কগনিজেন্সে নিতে হবে।সেনাবাহিনী যেভাবে বাধ্য করেছে করিডোর নামের দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার মত পদক্ষেপ বন্ধ করতে সেরকম যাতে কেউ সরকারকে বাধ্য না করতে হয় সেজন্য প্রোএকটিভ কাজ সরকারের থেকে আশা করি।
হাসিনার গেংগ অব ফোরের জায়গায় ডঃ মুহাম্মদ ইউনুছের গেংগ অব ফাইভ!!
সকল বিবেকবান এবং চিন্তাশীল মানুষকে অনুরোধ করবো ছোটন এবং গফুর গেংগ আসলে কি করছে- এটা জানার চেষ্টা করা।
গফুর(ফরহাদ মজহার) ছোটন(নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া)কৃষ্ণ(ডঃ খলিলুর রহমান) অর্জুন(পিনাকি ভট্টাচার্য) রাধা(ফরিদা আকতার)সহ আরো অনেক প্রভাবশালী সদস্য এই গেংগের সাথে জড়িত।ডঃ ইউনুছ সরকারে এই গোষ্ঠীর কমপক্ষে ৫ জন উপদেষ্টা আছে।ফলে এই সরকারে বিরাট প্রভাব এবং এটাই জাতির জন্য বিরাট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সংকটের কারন এরাই।
এদের সাথে এমন কিছু মানুষ জড়িত শুনলে আশ্চর্য হতে হবে।২০০১ সাল থেকেই এরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল এবং ২০০৭ সালের ১/১১ এর ঘটনায় এরা জড়িত।যদিও এর আগে এরা বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিল।২০১৩ সালের শাপলা চত্বর এবং শাহবাগ চত্বর দুটার সাথেই তারা জড়িত ছিল।জামাতকে ভাগ করে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠা,নুরুল হক নূরের গন অধিকার
পরিষদ ভেঙে দুটো করা,এনসিপি ভাগ করা, বিএনপি সাথে জামায়াতের সম্পর্ক নষ্ট করা,সেনাবাহিনীর সাথে
ডঃ ইউনুছের সম্পর্ক নষ্ট করা এবং নারীবাদি এবং রেডিকেল ইসলামি দুই গ্রুপকে উসকানি দেওয়াসহ নানা রকম দেশ বিরোধী কাজে তারা জড়িত।এদের আসল উদ্দেশ্য এবং পিছনে কোন বিদেশী চক্রান্ত আছে কিনা সেটা জানা না গেলেও বর্তমানে তারা একটা অনিয়মিত বা অসাংবিধানিক সরকার গঠনের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।