মোহাম্মদপুর ক্রিকেট একাডেমি বনাম নিউএইজ স্পোর্টিং ক্লাবের হাইভোল্টেজ ম্যাচে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের দলকে জিতিয়ে হিরো হয়ে উঠলেন ১৯ বছর বয়সী নাঈম হাসান। স্টেডিয়াম জুড়ে ছিল আবেগ, উত্তেজনা ও বিস্ময়।
প্রকাশিত : ২৭ মে ২০২৫, ২:৪৭:৫১
মোহাম্মদপুর ক্রিকেট একাডেমি বনাম নিউএইজ স্পোর্টিং ক্লাবের হাইভোল্টেজ ম্যাচে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের দলকে জিতিয়ে হিরো হয়ে উঠলেন ১৯ বছর বয়সী নাঈম হাসান। স্টেডিয়াম জুড়ে ছিল আবেগ, উত্তেজনা ও বিস্ময়।
কখনো কখনো একটা বলেই বদলে যায় গোটা ম্যাচের গতিপথ। স্থানীয় লিগে সেই মুহূর্তের জন্ম দিলেন ১৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান নাঈম হাসান, যিনি শেষ বলে ছক্কা মেরে মোহাম্মদপুর ক্রিকেট একাডেমিকে এনে দিলেন রোমাঞ্চকর জয়। খেলা চলছিল মিরপুর পল্লবী মাঠে, ১২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান, শেষ বলে ৫। শেষ বলে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা মারতেই গ্যালারিতে ছিল বিস্ময়ের ধাক্কা, মাঠে ঢুকে পড়ে সমর্থকেরা। কোচ, সতীর্থ ও কর্তারা ছুটে এসে জড়িয়ে ধরেন নাঈমকে—যে পুরো ম্যাচে ছিলেন নীরব, কিন্তু এক বলেই হয়ে উঠলেন ম্যাচ উইনার।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০০ দর্শক। শেষ ওভারের প্রতিটি বলেই ছিল পিনড্রপ সাইলেন্স। শেষ বলের পর মুহূর্তেই শুরু হয় উল্লাস। দর্শকরা গেট টপকে মাঠে ঢুকে পড়েন, একজন সমর্থক তো মাঠেই সেজদা দিয়ে কেঁদে ফেলেন। একজন দর্শক বলেন: “এটা ছিল সিনেমার মত শেষ! আমি জীবনে কখনো এমন ফিনিশ দেখিনি।” কোচ ও বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া: মোহাম্মদপুর একাডেমির প্রধান কোচ শামসুর রহমান বলেন— “নাঈমের ঠান্ডা মাথার ব্যাটিং অভূতপূর্ব। ওর সাহস এবং পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতা প্রমাণ করে সে ভবিষ্যতে বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত।” ক্রিকেট বিশ্লেষক মাহবুব ফারুক জানান— “শেষ বলে ছক্কা মারার জন্য কেবল টেকনিক নয়, লাগে মানসিক দৃঢ়তা। স্থানীয় ক্রিকেটে এমন খেলোয়াড় বিরল।” নাঈমের প্রতিক্রিয়া: “আমি জানতাম শেষ বলটা যদি ঠিক মতো টাইম করতে পারি, তাহলে জয় সম্ভব। মাথা ঠান্ডা রেখে শুধু বলের দিকে মনোযোগ দিয়েছি,”—বললেন নাঈম, যিনি শৈশব থেকেই রিয়াদ-সাকিবদের ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
ম্যাচের পরপরই বিসিবির স্থানীয় পর্যায়ের স্কাউট টিম নাঈমের ভিডিও ও খেলার বিশ্লেষণ সংগ্রহ করেছে। তাকে নিয়ে আসন্ন যুব ক্যাম্পে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে।