অন্যদিকে শেখ হাসিনার প্রধান শত্রুই হচ্ছে তার মুখের ভাষা, অসহিষ্ণুতা, জিঘাংসা, দাম্ভিকতা, আত্মঅহমিকা ও তুচ্ছতাচ্ছল্যতা
প্রকাশিত : ১৫ মে ২০২৫, ১:২১:২৭
বেগম খালেদা জিয়া প্রতিপক্ষকে কখনও অসম্মানসূচক, নোংরা, কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ বা গালাগালি করেননি। ৫ই আগস্ট মুক্ত হয়ে শেখ হাসিনার নামটি পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি। কখনও প্রতিশোধপ্রবণ হননি। উনার রাজনৈতিক সহনশীলতা, শিষ্টাচার, উদারতা, ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতা সেকারনেই সর্বজনস্বীকৃত।
অন্যদিকে শেখ হাসিনার প্রধান শত্রুই হচ্ছে তার মুখের ভাষা, অসহিষ্ণুতা, জিঘাংসা, দাম্ভিকতা, আত্মঅহমিকা ও তুচ্ছতাচ্ছল্যতা। খালেদা জিয়া ও ডক্টর ইউনূসকে পর্যন্ত প্রকাশ্যে পানিতে চুবাতে চেয়েছেন। সর্বশেষ ছাত্রদের রাজাকার বলে নিজেই তার নিজের ও দলের সর্বনাশ ডেকে আনলেন।
প্রতিপক্ষকে কোন ভাষায় জবাব দিতে হয়। কোন ধরনের ধৈর্য, সহনশীলতা, শিষ্টাচার দেখাতে হয়। রাজনীতি করলে সেই কমনসেন্সটুকু থাকাটা জরুরী। বিশেষ করে ক্ষমতায় থাকলে আরো বেশী পরিমানে সহনশীল, মার্জিত, উদার, ধৈর্যশীল ও সংযত থাকতে হয়।
আমাদের ভবিষ্যত নেতৃত্ব খালেদা জিয়ার মতো হবে, নাকি শেখ হাসিনার মতো হবে- এ সিদ্ধান্ত তাদেরকে এখনই নিতে হবে। তাদের চোখ দিয়ে জাতি ভবিষ্যতের যে স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবায়নই হতে হবে তাদের প্রধানতম এজেন্ডা। জাতি তাদের কাছে সেটাই প্রত্যাশা করে।