রাজধানীর রামপুরা এলাকা হয়ে উঠেছে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য!
প্রকাশিত : ২১ মে ২০২৫, ১২:১৯:৩৮
রাজধানীর রামপুরা এলাকা হয়ে উঠেছে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য। প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র সব কিছুই নিত্যদিনের সঙ্গী ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
৫ আগস্টে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর নতুন করে অপরাধীরা আধিপত্য বিস্তার করেছে রামপুরা এলাকায়। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব ঘটনা ঘটলেও নির্বাক তারা। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় সুত্র জানায়, রামপুরার ওয়াপদা রোড, বাগিচারটেক ও ওমরআলী লেনে চলে প্রক্যাশে চাঁদাবাজি ও মাদকের কেনা-বেচা। দোকান, সিএনজি থেকে তোলা হয় নিয়মিত চাঁদা। আর চাঁদা না দিলেই শুরু হয় ভাংচুর ও হত্যার হুমকি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সুজন গ্রুপের লোকজন নিয়মিত এই চাঁদাবাজি করে আসছে। একাধিক মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছে সুজন। কিন্তু কারাগার থেকেই এই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। এই সুজনের সঙ্গে মোশাররফের ছবি দেখা যায়। মোশাররফ সুজনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নিজাম উদ্দিন টিপুর সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় সেই মোশাররফকে। এই টিপুর বিরুদ্ধে আদালতে রুয়েছে চাঁদাবাজির মামলা। জেলে বসেই সুজন নিয়ন্ত্রণ করে রামপুরায় ত্রাসের রাজত্ব। ফুটপাত ও বাজারের প্রত্যেক দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয় সুজনের লোকদের।
টিপুর আপন ছোট ভাই আলাউদ্দিন আহমেদ রানা ৫ আগষ্টের আগে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা থাকলেও বর্তমানে তিনি সক্রিয় বিএনপির রাজনীতিতে। এই চক্রের নেত্বত্বেই ঘটে রামপুরা এলাকার এসব অপকর্ম। ভয়ে মুখ খুলতে চান না অনেকেই। সুজনের কাছে বাইক চুরির অভিযোগ করে পা হারিয়েছে এক যুবক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি নাগরিক টিভিকে জানান, মুলত মোবাইল টিপু স্থানীয় ওয়ার্ডের নেতা হওয়ায় তার ছত্রছায়াতেই চলে ওই এলাকায় চাঁদাবাজির তান্ডব। কেউ প্রতিবাদ করলে তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। গোপন টর্চাস সেলে নিয়ে নির্যাতন চালায় ওই দুর্রব্ত্তরা।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে টিপু ও তার ভাই রানার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি কেউই। রামপুরার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান এলাকাবাসী।