সালাউদ্দীন বেঁচে কেন আসল সেজন্য সে “র” এর দালাল!তাহলে আবদুল্লাহ আযমী বেঁচে থাকল কেন-সে হাসিনার দালাল হবে না?
প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৫, ৫:০৫:০৫
সালাউদ্দীন বেঁচে কেন আসল সেজন্য সে “র” এর দালাল!তাহলে আবদুল্লাহ আযমী বেঁচে থাকল কেন-সে হাসিনার দালাল হবে না? মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আপনি সালাউদ্দিনের সমালোচনা করার আগে বলেন,আপনি কুষ্টিয়ার কোর্টে হামলায় রক্তাক্ত এবং গুরুতর আহত হয়েছিলেন কিন্ত নিহত হলেন না কেন-সেজন্য আপনাকে হাসিনার দালাল যদি কেউ বলে কেমন লাগবে? কেউ রেহাই পাবেন না।আপনি এত উগ্র কথাবার্তা বলেন কেন?আপনার উত্থান একজন সম্পাদক হিসাবে বা মানুষের কাছে পরিচিতির মুলে ছিল বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপি যে সব ভাল করতেছে তা নয় আপনি অবশ্যই সমালোচনা করেন বা করবেন। আমরাও আপনার চেয়ে বেশি করেছি।এমনকি তারেক রহমানের ভুল সিদ্ধান্তের ও সমালোচনা করেছি।কিন্তু এদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে বাদ দিলে এই দেশ কি থাকবে মনে করেন?আপনি মাহমুদুর রহমান এই দেশ ভারতের কাছ থেকে রক্ষা করতে পারবেন?বিএনপি না থাকলে বা বিএনপি যদি আপনার “ভাষায়” শত্রু দেশ ভারতের সাথে কম্প্রোমাইজ করবে বলছেন-কি কারনে?
বিএনপির কি হাসিনার মত আকাল পড়েছে ভারতের সহযোগিতা নিতে হবে! কতিপয় নেতার সমালোচনা আর দল হিসাবে বিএনপির সমালোচনার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক আছে।প্রেসিডেন্ট জিয়াকে ৮১ সালে হত্যা করার পর চট্টগ্রাম বেতার একদিনের জন্য দখল করে ঘোষণা করা হয়েছিল দেশকে “ভারতের দখল” মুক্ত করা হয়েছে! কিন্তু জিয়ার হত্যাকারীরা এই ঘোষণা দিয়ে ভারতে পালাল কেউ কেউ জেনারেল মন্জুর সহ অনেকে পালাতে না পেরে ধরা খেল।সালাউদ্দীন যেদিন গুম সেদিন রাতে বেগম জিয়া সাবধান করেছিলেন যে তিনি রেবের হেফাজতে আছে। যদি তার জীবনের উপর কোনো আঘাত আসে কাউকে ছাড়া হবেনা বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন। হয়তো সেজন্য তিনি বেঁচে আছেন।
৬১ দিন গুম হয়ে ৯ বছর ভারতে আটক থাকার পর সে দেশের দুটা কোর্ট বাংলাদেশের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেও হাসিনা-মোদির প্লানে এবং বাংলাদেশে হাই কমিশন পাসপোর্ট ইস্যু না করার কারনে আসতে পারেনি দেশে।২০২৪ আগস্টের পর তিনি পাসপোর্ট পেলে দেশে ফিরেন। বাংলাদেশের গোয়েন্দারা গুম করে সালাউদ্দিনকে ভারতে পাচার করল আর ভারতের গোয়েন্দারা তাকে নির্যাতন করে পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে দিয়ে ৯ বছর ধরে তামাশা করল কিন্তু বদমাশরা তাকে বানালো “র” এজেন্ট! বিশিষ্ট গোয়েন্দা সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি প্রমান করে দিয়েছেন(গতকাল তার ফেসবুক) কিভাবে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া ভারতে চলে গেল আর পিনাকি পাসপোর্ট ছাড়া ভিসা ছাড়া ভারতে গিয়ে আবার ভারতের ইমিগ্রেশনের সহযোগিতায় পাসপোর্ট বানিয়ে ভারত থেকে ফ্রান্সে চলে গেল নির্ধিদায়। পিনাকি হয়ে গেলো দেশপ্রেমিক! ভন্ডামির একটা সীমা থাকা দরকার।
এই নরাধম যারা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায় তাদের অন্যতম হোতা হিসাবে এখন আবির্ভূত হয়েছে পিনাকি। পতিত হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলে সে যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে পুরাটাই সে এখন নিজের এবং ছোটন গেংয়ের সাথে মিলে নিজেদের খায়েশ মিটাতে গিয়ে দেশের বারটা বাজিয়ে দিচ্ছে।মির্জা ফকরুল,আমীর খসরু, শামসুজ্জামান দুদুসহ কেউ কথা বললেই সব নাকি ভারতের দালাল বা সবাই নাকি “র” এর দালাল? যারা তাঁদের দালাল বলেন, আপনাদের প্রশ্ন করি হাসিনার আমলে কবছর জেল খাটছেন? কয়টা মামলা আছে আর সপ্তাহে কদিন কোর্টে যান? ফাজিল কোথাকার?
যাদের বিরুদ্ধে একশর বেশি মামলা আছে তারা হয়ে গেল বিদেশি দালাল আর হাসিনার পতনের পর আপনারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কদিন লিখেই হয়ে গেলেন বিশ্বপ্রেমিক!বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এখনো হাসিনার দেওয়া ৮০ ভাগ মামলা রয়ে গেছে।আপনারা যারা ফেসবুকে আর ইউটিউবে হাসিনার একটা মামলাও খাননি আপনারা আরেকজনকে সমালোচনা করার আগে ভাবেন আপনারা কি কাপুরুষ বা Coward, Idiot বা Stupid ছিলেন না?
ইন্ডিয়ার হেজিমনিকে লাথি মেরে জন্ম নেওয়া বিএনপিকে যারা এধরনের টেগ দাও তাদের বলি শোন-যেদিন বিএনপির এরকম কিছু হবে একদিন ও এদেশ থাকবে না।কোন সেনাবাহিনীও এদেশ রক্ষা করতে পারবে না। বেশি আলগা পিরিত করা বাদ দাও হারামির দল।