হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভ, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪
প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৩:২০:৩৪
যেখানে হাসিনা সেখানেই প্রতিরোধ এই স্লোগানকে সামনে রেখেই গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার জার্মানির রাজধানী মিউনিখে পালিত হল হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ. Munich Security Conference 2024 উপলক্ষে ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানি সফরে ছিলেন। তার এই সফরের প্রতিবাদে গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি রোজ শনিবার সকাল দশটায় জার্মানির মিউনিখ শহরের প্রানকেন্দ্র Professor-Huber-Platz এ বিএনপি জার্মানির তত্ত্বাবধানে এবং ইউরোপ বিএনপির সার্বিক সহযোগিতায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির টানা তিনবার দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক(সাবেক) ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জনাব মাহিদুর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন ও সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আবেদীন মোহনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই বিক্ষোভ সমাবেশসহ পুরো প্রোগ্রামটির সমন্বয়ক ছিলেন ঢাকার দোহার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মিউনিখে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ রেজুওয়ান ইসলাম রাজু। উপ-সমন্বয়ক শিব্বির আহমেদ সেলিম ও রিয়াজ শরীফকে সাথে নিয়ে প্রোগ্রামটি সফল করতে রেজুওয়ান ইসলাম রাজু প্রচার ও মিডিয়া, আপ্যায়ন, অর্থ ও যোগাযোগ টিমগুলো পরিচালনা করেন। টানা তিন সপ্তাহ ধরে বায়ার্ন রাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রোগ্রামটি সফল করতে দিনরাত পরিশ্রম করেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এই সমাবেশে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী যোগদান করেন।
উক্ত সমাবেশের প্রধান অতিথি মাহিদুর রহমান বলেন ” বাংলাদেশকে বাঁচাতে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলনের বিকল্প নেই”, বিশেষ অতিথি এম এ মালেক বলেন, “দিল্লীর আধিপত্য মেনে নেওয়ার জন্য আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করিনি”, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন বাংলাদেশের জনগণ গত ৭ ই জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচন’ কে ভোট বর্জনের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাজমুল আবেদীন মোহন বলেন “ভারতের সহযোগিতায় পাতানো নির্বাচন করে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে আওয়ামীলীগ”, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সুইডেন বিএনপির প্রাক্তন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিনটু বলেন ” দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অবৈধ সরকারের ব্যর্থ হয়েছে”, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক বলেন “বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম-খুন ও কারাবন্দী করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা সম্ভব হবে না”, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন “যেখানে ভোটচোর হাসিনা সেখানেই প্রতিরোধ গড়ার জন্য সকল নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান”, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা আক্তার রুবি” নারী ও শিশু নিপীড়ক আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ব সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে আবেদন জানান” এবং এই অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক জনাব রেজুওয়ান ইসলাম রাজু বলেন " বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জার্মানিসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে "। এরপরে সামগ্রিকভাবে এই বিক্ষোভ সমাবেশটি সফল করতে বিএনপি জার্মানির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি সরকার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মান্নানের সাথে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার মনা ও ফয়সাল আহমেদ এবং মিডিয়া প্রচারে বিএনপি জার্মানির ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার।
ইউরোপের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশটি এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে পরিণত হয়ে মিউনিখ শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে স্থানীয় বায়ার্ন রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় Siegestor প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। এই বিক্ষোভ মিছিল শেষে আপ্যায়ন ও স্বেচ্ছাসেবক কমিটির তত্ত্বাবধানে মোহাম্মাদ মোতাহার হোসেন, বার্লিন বিএনপির সভাপতি জসীম শিকদার, বাডেন ভুরটেমবুরগ রাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন খান, শেখ হোসাইন মোহাম্মাদ বাদল, ফরহাদ হোসেন, মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ মুনজুরুল হক টিটু, আরিফ আহমেদ সোহাগ, এইচ এম মুকুল, জালাল উদ্দিন, মোঃ সাব্বির আহমেদ, আকিদুল ইসলাম চমন, মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, নান্নু আহমেদ, মোঃ শাখাওয়াত হোসেন শাকিল, মোহাম্মদ মজিদ হোসেন, ইলিয়াস হোসাইন, রমি শিকদার, শাহিন ভুঁইয়া, ইমদাদুল হক রনি, মোঃ মাসুদ মিয়া, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মনির হোসেন চয়ন, মুস্তাফিজুর রহমান, মোঃ মাকসুদুর রহমান, পলু খন্দকার সহ দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত নেতাকর্মীদের মধ্যে খাবার ও পানীয় সামগ্রী বিতরন করেন। আপ্যায়ন শেষে বিএনপি জার্মানির সন্মানীত সভাপতি জনাব আকুল মিয়া বিক্ষোভ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।